তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ব্যাপারে কোনো বিধান নেই। সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এসব কথা বলছে। এগুলো প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি সমর্থিত সংগঠন বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, ১৯৯৬ সালে ১৩তম সংশোধনীর মাধ্যমে বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিধান যোগ করেছিল। কিন্তু ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে আপনারা (সরকার) তা সরিয়ে ফেলেছেন। আর এখন আপনারা নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের কথা বলে এখন জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, সরকারের কথিত নির্বাচনকালীন ছোট সরকার এবং বর্তমান সরকারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। কারণ একই ব্যক্তিরা ওইসব পদে থাকবেন।
নির্বাচনকালীন ছোট সরকার নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দেয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে মওদুদ বলেন, বর্তমান সংবিধানের কোথাও এমন বিধানও নেই।
মওদুদ আরো বলেন, তারা (ক্ষমতাসীন দলের নেতারা) আরো বলেন যে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন নির্বাহী ক্ষমতায় থাকবে। সংবিধানের কোথায় এমন বিধান পেয়েছেন আপনারা? সংবিধানের কোথাও এমন বিধানের কথা লেখা নেই। তারা মিথ্যা বলছে।
বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের সময় পুলিশ, প্রশাসন এবং বিচার বিভাগ সরকারের হাতেই থাকবে বলে জানান বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, মূলত বর্তমান সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এই প্রশাসনের অধীনে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে চায়।
ক্ষমতাসীন দলের অধীনে দেশে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা যখন মিথ্যা মামলায় দৌড়াচ্ছেন তখন তারা এককভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীনদের কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয় না। যখন যেখানে ইচ্ছা কর্মসূচি পালন করছেন। এমনকি রেলস্টেশনেও সমাবেশ করছেন।
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন চাইলে সরকারের আচারণ অন্যরকম থাকত।