বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, ত্রাস-ভীতি সৃষ্টি করে, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে নজিরবিহীনভাবে একটা যুদ্ধাবস্থা তৈরি করে এই নির্বাচন করা হয়েছে।’
সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে যে নির্বাচন হয়েছে তাকে আমরা ভোট ডাকাতি বলতে পারি। আমরা এই নির্বাচনের ফলাফলকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি। এই নির্বাচন বাতিল এবং অনতিবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’
ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণে বিকাল ৪টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নতুন করে নির্বাচনের দাবি প্রত্যাখ্যান করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার সবচাইতে পক্ষপাতদুষ্ট একজন ব্যক্তি এবং তার সমস্ত কার্যকলাপ ইতোমধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে। উনি যেভাবে কথা বলেন তাতে তিনি সম্পূর্ণভাবে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।’
পুনর্নির্বাচনের দাবি বাস্তবায়নে তারা আইনী প্রক্রিয়ার পাশাপাশি আন্দোলনও চালিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।
বিএনপির সিনিয়র নেতা জানান, তারা যথাসময়ে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ৫টি এবং তাদের জোটের সঙ্গী গণফোরাম ২টি আসনে জয়ী হয়েছে।