বুধবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কামরুন্নাহার আশরাফ দীনা বাদী হয়ে নেত্রকোনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১ এ এই মামলা দায়ের করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর বেসরকারি ৭১ টেলিভিশনের এক টকশোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি মইনুল হোসেনকে জামায়াতের প্রতিনিধি বলেন। এতে মইনুল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন নারী বলে আখ্যায়িত করেন। ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার উক্ত মন্তব্যে সমগ্র নারী সমাজকে অপমান করা হয়েছে বলে মামলার বাদী মনে করেন।
এছাড়াও তিনি (বাদী) একজন নারী হিসেবে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ এবং জনপ্রতিনিধি হওয়ায় সামাজিক, রাজনৈতিক এবং মানসিকভাবে আহত ও অপমানিত হয়েছেন।
আসামি জেনে শুনে পরিকল্পিতভাবে উক্তরূপ অশ্লীল ও মানহানীকর ভাষা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও মিডিয়ায় প্রচার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৯ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
‘এই কারণেই তার বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছি,’ বলেন কামরুন্নাহার আশরাফ।
তিনি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এদিকে বাদীর আইনজীবী মনোয়ারুল হক পারভেজ জানান, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল হক-এর আদালতে মামলাটি দায়ের করলে বিজ্ঞ জজ বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন এবং আইন দেখে পরবর্তীতে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।