তিনি বলেন, ‘ স্বৈরতন্ত্র অনেকবার চেষ্টা করেছে এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে, চিরস্থায়ী হতে। কিন্তু পারেনি। আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে হানড্রেড পার্সেন্ট গ্যারান্টি দিতে পারি, বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের কোনো জায়গা নাই।’
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল আরও বলেন, ‘যদি স্বৈরশাসকরা মনে করেন গণতন্ত্রকে চাপা দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে, টাকা ও বিভিন্ন রকমের প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী হওয়া যায়, তাহলে তারা আহাম্মকের স্বর্গে বাস করছেন।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর প্রয়াণে এক নাগরিক শোক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গত ২৭ এপ্রিল থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহফুজ উল্লাহ।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
দেশে স্বৈরতন্ত্রের অনেক কিছুই দৃশ্যমান উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, একমাত্র জনগণের ঐক্যই এ থেকে উত্তরণে সাহায্য করতে পারে।
তিনি বলেন, মাহফুজ উল্লাহ ঝুঁকি নিয়ে সব সময় সত্য কথা বলতেন। ‘এখনো সত্য বলায় ঝুঁকি রয়েছে। কিন্তু আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই,’ বলেন ড. কামাল।
মাহফুজ উল্লাহ সম্পর্কে ড. আকবর আলি খান বলেন, মাহফুজ উল্লাহ তার পেশায় অসাধারণ অবদান রেখেছেন, বিশেষ করে পরিবেশ সাংবাদিকতায়।
তিনি বলেন, ‘মাহফুজ উল্লাহ ভালো লেখক ছিলেন যার জন্য মানুষ তাকে দীর্ঘদিন স্মরণ করবে। তিনি আরও অনেক বইয়ের লেখা সম্পন্ন করতে পারেননি। তিনি বেঁচে থাকলে আমাদের সাহস দিতে পারতেন এবং গণতন্ত্রের যাত্রাপথের অভিযানকে শক্তিশালী করতে পারতেন।’
আকবর আলি বলেন, মাহফুজ উল্লাহ গবেষণা ও সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তির জীবনী লেখেছেন। ‘সেই জীবনী ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রয়োজনীয়।’
নাগরিক শোকসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা নূহ-উল-আলম লেনিন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, প্রয়াত মাহফুজ উল্লাহর ভাই অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, সাবেক কূটনীতিক শমসের মুবিন চৌধুরী, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. সাদাত হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, নিউএজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবির, মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান প্রমুখ।