তিনি বলেন, ‘আমরা রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের তৃপ্তি এবং বিভিন্ন মন্তব্য দেখতে পেয়েছি। আমরা বলতে চাই, একটি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার রায়ের মাধ্যমে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপিকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার জন্য এবং সরকারের বিশেষ ব্যক্তির মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণে এই রায় দেয়া হয়েছে।’
একতরফা নির্বাচন করার কারসাজি হিসেবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই রায় দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
২১ আগস্টের মামলায় তারেক রহমানসহ দলের অন্যান্য নেতা ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ফাঁসানোর জন্য সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্মমভাবে ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
রাজধানীতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার দুই মামলায় বুধবার দ্রুত বিচার আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
রিজভী বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য দেয়া রায় জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।
অতীতে সঠিক বিচার করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ও জেলা জজ মোতাহার হোসেনকে দেশ ছাড়তে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল দ্রুত বিচার আদালত যদি সঠিক রায় দিত তাহলে এর বিচারককেও দুর্ভাগ্য বরণ করতে হত।
বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, ‘লক্ষ্মীপুরে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে প্রকাশ্যে খুন করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি রাষ্ট্রপতির ক্ষমা নিয়ে বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তথ্যমতে এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিশেষ ক্ষমতায় প্রায় ছয় হাজারের মতো ভয়ঙ্কর আসামিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
তার অভিযোগ, সরকার নিয়ন্ত্রিত বিচার প্রক্রিয়া দুষ্টুকে পালন করার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। ‘সুতরাং যতদিন এই ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কেউ ন্যায়বিচার পাবে না বলেই জনগণ মনে করে।’