বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা চাই না ডাকসু নির্বাচন জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো হোক। এটা নিশ্চিত করা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জন্য) এক বড় চ্যালেঞ্জ।’
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকার নিয়োজিত হওয়ায় ডাকসু নির্বাচন নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ আছে। তবে আমরা আশা করি ছাত্রসমাজ তাদের প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করবে।
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নতুন আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল মনে করেন, ডাকসু নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির মাঝে ভোটের লড়াই হবে। ‘আমি আশা করি, গণতন্ত্রের সপক্ষের শক্তি নির্বাচনে জয়ী হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি দল সবাইকে আশ্বাস দিয়েছে যে ক্যাম্পাসে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতে তারা কোনো বাধা দেবে না। ‘আমরা তাদের বিশ্বাস করতে চাই।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, তাদের দলও চায় সব ছাত্র সংগঠন যাতে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পায় এবং ছাত্ররা যাতে সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোট দেয়ার মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
ডাকসু ও হল ইউনিয়নের ২৫ পদে নির্বাচনের জন্য আগামী ১১ মার্চ ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার নওয়াব নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ওইদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে টানা ৬ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ করা হবে।
ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই। এরপর গত ২৮ বছর ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ পায়নি।