ফাঁস হওয়া এ অডিওতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা, নেতা-কর্মীদের মাদকের খরচ ও খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার মতো বিষয় উঠে এসেছে।
কথোপকথনে জুবায়ের আরেক ছাত্রনেতা আরাফাতের অনুসারীদের মাদকের খরচ এবং বিশ্ববিদ্যালয় হলে সুবিধা দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। সেই সাথে তিনি রাকিবকে পদত্যাগ করার কথা বলেন।
জবাবে রাকিব সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজুর কাছে যাওয়ার পরামর্শ চাইলে জুবায়ের জানান, রাজু কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন। তিনি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হালিম ও শাহীনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। ক্যাম্পাস থেকে ৮-১০ কোটি টাকা কামিয়েছেন হালিম। সেখান থেকে দুই কোটি পেয়েছেন রাজু।
রাকিবকে উদ্দেশ করে জুবায়ের আরও বলেন, ‘তুই পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে চলে যা। তোরে ভালো পদ দেব...আমি তোর রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে দিলাম। তুই আমার কথা কখনো শুনিসনি, গুরুত্ব দিসনি...তুই তুহিনের কথা শুনলি...আমারে তো কোনোদিন আরাফাতরা ভালোবাসেনি। আজকে ভালোবাসে আমি রাজনীতি করি তাই। আমারে ইউজ করে। এখনো ইউজ করতেছে, অস্বীকার করার কিছু নেই।’
নিজের খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে জুবায়ের দাবি করেন, তাকে মারতে আওয়ামী লীগের জনৈক কেন্দ্রীয় নেতা ফোন করেছেন। অন্যদিকে, তাকে রক্ষায় পুলিশকে ফোন করেছেন এক মন্ত্রী।
এ ফাঁস হওয়া অডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে জুবায়ের বলেন, ‘আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেয়া হচ্ছে।’
অন্যদিকে রাকিব বলেন, ‘আমাদের দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে। কীভাবে বাইরে আসল আমার জানা নেই। প্রতিনিয়তই আমাকে চাপের মুখে থাকতে হচ্ছে। বিদ্রোহী নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে আমাকে নিয়ে একের পর এক সমস্যা করেই চলেছে।’