আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার এ সংক্রান্ত আদেশে স্বাক্ষর করেছেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়াতে মানিকগঞ্জ আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা-কর্মীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বইছে। তাদের প্রত্যাশা আগামী দলীয় কাউন্সিলে সেলিম একজন শক্তিশালী সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হবেন।
সেলিম ২০০৩ থেকে টানা ২০১৪ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে তিনি বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠিতে বলা হয়, সেলিম তার কর্মকাণ্ডের জন্য দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যতে সংগঠনবিরোধী কোনো কাজ না করার অঙ্গীকার করলে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় বিষয়টি পর্যালোচনা করে তাকে ক্ষমা করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, ‘সেলিম একজন দক্ষ সংগঠক। তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া দলের জন্য ভালো খবর। আগামীতে জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম বলেন, ‘সেলিমকে বহিষ্কার করা হয়েছিল দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ। আবার দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে। এটাই সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। এটা আমাদের জন্য সুখবর।’
এ ব্যাপারে সেলিম বলেন, ‘দুর্দিনে দলের জন্য কাজ করেছি। দলীয় নেতা-কর্মীরা আমাকে সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছিলেন। পৌর নির্বাচনে জনগণের চাপে প্রার্থী হয়েছিলাম। এতে দলীয় প্রার্থীর পরাজয় ঘটে। দলের প্রতি আস্থা রেখে বহিষ্কার হওয়ার পরও কাজ করে গেছি। এখন দলের সিদ্ধান্তে চার বছর পর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হওয়াতে দলের সব সাংগঠনিক কাজে অংশ নিতে পারব। এখন দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য আমার কাজ করতে কোনো বাধা নেই।’