সংসদ অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন হলো এ ধরনের প্রতিষ্ঠান যাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই, তারা কীভাবে এ কাজ করার অনুমোদন পেল? স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কী করল, যাদের পুরো বিষয়টি দেখভাল করার কথা?’
তিনি উল্লেখ করেন যে বুধবার প্রধানমন্ত্রী রিজেন্ট হাসপাতাল নিয়ে কিছু কথা বলেছেন এবং সবাই জানতে পেয়েছে যে তাকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে ও তারপরই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
‘এ সামান্য বিষয় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। যারা করোনাভাইরাস পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ নিয়ে বিদেশে যাচ্ছেন তারা বিদেশের মাটিতে পজেটিভ হচ্ছে। অনেক দেশ আমাদের দেশের এসব পরীক্ষার ফল গ্রহণ করছে না,’ বলেন তিনি।
জিএম কাদের জানান, এসব পরীক্ষার ফলকে অনেক দেশ বিশ্বাস করছে না এবং ইতোমধ্যে কিছু দেশ বাংলাদেশি যাত্রী থাকা উড়োজাহাজ অবতরণ নিষিদ্ধ করেছে।
দেশে করোনাভাইরাস রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যথাসময়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই সাথে তিনি দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি নির্ণয় এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে করোনা পরীক্ষার ল্যাব বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
বিরোধী দলীয় উপনেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে লকডাউন অর্থনৈতিকভাবে কোনো সুফল বয়ে আনবে না। তিনি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর বাড়ানোর কথা বলেন।
তিনি নৌ দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলার সময় এ বিষয়ে একটি আলাদা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব দেন।
আসন্ন ঈদুল আজহায় সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো যাতে কাঁচা চামড়ার দাম সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে সে জন্য তিনি সরকারকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।