‘তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন কোনো সংলাপের প্রয়োজন নেই। আপনি অবশ্যই সংলাপের প্রয়োজন বোধ করবেন। সরকার সংলাপে আসতে বাধ্য হবে এবং এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র,’ বলেন তিনি।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আদর্শ নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
এর আগে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাদের দল আগামী নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সাথে সংলাপের যাওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না। কারণ, গত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এমন প্রস্তাব দলটি ফিরিয়ে দিয়েছিল।
কাদেরের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মওদুদ বলেন, ক্ষমতাসীন দল আন্দোলনের মুখে সংলাপ নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে এবং আগামী দিনগুলোতে সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে।
তবে বিএনপির এ নেতা আরো বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক ‘সংকট’ সংলাপ ছাড়াও সমাধান হতে পারে। ভবিষ্যতে কী পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তার ওপর সেটা নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এখন জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। ‘খালেদা জিয়াকে করাগার থেকে মুক্ত করতে এবং তার নেতৃত্বে একটি সফল আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সবাইকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ বলেন, সরকার যদি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চায় তাহলে তাদের খালেদা জিয়াকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে। ‘এটা আমাদের অন্যতম প্রধান শর্ত।’
এছাড়া নির্বাচনের ৯০ দিন আগে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, যোগ করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা আওয়ামী লীগকে পরাজিত করে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সব রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান।