দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের পর গণমাধ্যমকে অন্ধকার ছায়া থেকে প্রতিনিয়ত নজরদারি করা হচ্ছে, যাতে কেউ সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলতে না পারে।’
বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশ এখন একদলীয় দুঃশাসন প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত পর্বে এসে উপনীত হয়েছে। এখানে এখন টু শব্দ করা যাবে না। ভিন্নমত প্রকাশিত হলে সাথে সাথে পুলিশি আক্রমণের মুখে পড়তে হবে। মানুষকে রুদ্ধশ্বাসে একদল ও এক ব্যক্তির বন্দনা করতে হবে, না হলে কারাবাস বা ভয়াবহ শাস্তি ভোগ করতে হবে।’
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হয়েছে। প্রতিদিনই খুন, গুম, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো লোমহর্ষক ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা বাড়ছে।
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে মহা ভোট ডাকাতিতে নিয়োজিত থাকার পর তারা এখন সমাজে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের বদলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত। তাই দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরমভাবে অবনতিশীল হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
গণমাধ্যমে আসা সংবাদের বরাত দিয়ে রিজভী বলেন, গত কয়েকদিনে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নাগরিকদের নিরাপত্তা বিধানের কাজে নিয়োজিত, তারাই বর্তমানে মানুষের জন্য ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে গতকালও (রবিবার) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে আটক করা হয়েছে।’
আইন তার নিজস্ব গতিতে না চলে ক্ষমতাসীনদের হাতের মুঠোয় রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
রিজভীর অভিযোগ, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে টালবাহানা চলছে। সরকারি শক্তি দিয়ে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। তার জামিন পেতে আইনি কোনো বাধা নেই। কিন্তু তাকে আটকে রাখতে আইনের ফাঁক দিয়ে বেআইনি রাস্তায় নানা চক্রান্ত চলছে।
খালেদা জিয়াসহ দল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কারাবন্দী নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।