তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকার এখন ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও দখলবাজীকে জাতীয় সংস্কৃতির অংশ করতে সর্বপ্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩০ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাতে তিনি এই বিবৃতি দেন।
ফখরুল বলেন, দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস, বিদ্যুত ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে জনগণ দুর্বিষহ হওয়াতে সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ‘মিথ্যা মামলায়’ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
‘এটি গণবিরোধী সরকারের চলমান দমন নীতিরই ধারাবাহিকতা। তবে সকল অপকর্ম ও অপশাসনের অবসান ঘটাতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। জনগণের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে না দিলে অবৈধ শাসনের ক্ষমতার তাসের ঘর যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে,’ বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘মিথ্যা’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের আদালতে জামিন নামঞ্জুর এখন সরকারের প্রাত্যহিক কর্মসূচি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘এ জাতীয় কর্মসূচি সফল করতে সরকার ইতোমধ্যে মানুষের ভোটের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপিকে নির্মূল করতে ‘মিথ্যা’ মামলায় বিনা কারণে দলটির নেতা-কর্মীদের কারাবন্দী করা হচ্ছে। ‘বর্তমান সরকারের চলমান অপকর্মের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীদের একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ফখরুল বিএনপি নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।