তিনি বলেন, ‘যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১৯৭৩ সালের অধ্যাদেশ দিয়ে চলে তারা তাদের অধ্যাদেশ অনুযায়ী আর বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিটি নিজস্ব আইনে পরিচালিত হয়। তাই সাংগঠনিক রাজনীতি চলবে না বন্ধ হবে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়।’
বেলা ১১টার দিকে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটে যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে হয়তো অপরাজনীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার সবকিছু একটি ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আবাসিক হলগুলোতে র্যাগিং, বুলিংয়ের অপসংস্কৃতি ছিল দীর্ঘদিন ধরে, যেটি পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই আছে এবং তা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। এটি বন্ধ করার ক্ষেত্রে বুয়েটের ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের আগে থেকেই যদি একটু উদ্যোগ থাকত তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না।’
সব ক্ষেত্রে রাজনীতিকে দোষ দিলে হবে না জানিয়ে তিনি বলনে, ‘রাজনীতি ছাড়া দেশ চলে? আপনি যা কিছু করবেন তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই চলে। কিন্তু রাজনীতিটা যেন সুষ্ঠু ও সুস্থ ধারার হয়। রাজনীতিকে কেউ যেন ক্ষমতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কোনো অপকীর্তি করতে না পারে। এর জন্য রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি সমাজের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মীদেরও একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে।’
জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।