দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে রুহুল আমিনকে নোটিশ দেয়া হবে।
বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের বিষয়ে গত ১৪ মে রুহুল আমিন হাওলাদারকে কমিশনে তলব করে দুদকের উপপরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম।
তবে ওমরাহ পালনের কথা উল্লেখ করে তিনি কমিশনে হাজির হতে পারবেন না বলে একটি চিঠি পাঠান।
এর আগে হাইকোর্ট দুদকের দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করায় গত ৪ মে দুদকে হাজির হননি হাওলাদার।
২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তদন্ত শুরু করে দুদক। নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে তার অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি দুদকের নজরে আসে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, হাওলাদারের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান কেআর ফ্যাশন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাছে বিপুল পরিমাণ জমি বরাদ্দ পায়। এছাড়া কুয়াকাটায় সরকারি জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে হাওলাদারের বিরুদ্ধে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে হলফনামায় ১৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকার সম্পদের কথা জানান রুহুল আমিন হাওলাদার। তবে ২০১৪ সালের হলফনামায় সম্পদের পরিমাণ বেড়ে যায় ৬৬.৬ মিলিয়ন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-১ সংসদীয় আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন রুহুল আমিন হাওলাদার।