স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর তীরবর্তী চৌহালী উপজেলার মিঠুয়ানি, দেওয়ানগঞ্জ বাজারসহ কয়েকটি স্থানে এই ভাঙন শুরু হয়। এছাড়া কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও এনায়েতপুর থানা এলাকার হাটপাচিলসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে চর জেগে ওঠায় পশ্চিম তীরে এনায়েতপুর এলাকায় তীব্র স্রোত বইছে। এ কারণে অসময়ে এই নদী ভাঙন শুরু হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভাঙন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা দেওয়ান মওদুদ আহম্মেদ বলেন, দেওয়ানগঞ্জ বাজার ও মিঠুয়ানি ভাঙন এলাকাসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেছি। এসব এলাকার ভাঙন এখনও থামছে না। বিষয়টি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক এবং দায়িত্বে নিয়োজিত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সিরাজগঞ্জ অংশে যমুনা নদীর তীরবর্তী এনায়েতপুর এলাকায় আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তুতি চলছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেলে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।