গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মওলানা আব্দুল আলী সড়ক মো. জনি মোল্লা (২৫) ও সুফী আব্দুল বারী সড়ক এলাকার মো. মেহেদী আবু কাওছার (২০) ও রাজবাড়ী সদরের মজলিশপুর এলাকা মো. বাদশা শেখ (২৬)।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান শেষে তাদেরকে বৃহস্পতিবার রাতে আদালতের নির্দেশে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খায়রুল বাসার বলেন, প্রাপ্ত গোপন তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ইজিবাইক চালক শওকত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার ওই তিন আসামিকে জেলার এক নম্বর আমলী আদালতে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ওসমান গণির কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন জানান, পুলিশ দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত ২০ নভেম্বর ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ওই মামলায় জড়িত সন্দেহে জনি ও কাওছারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার সকালে আসামি বাদশাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার বাড়ি থেকে শওকতের ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর বিকালে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন শওকত মোল্লা (২০)। পরদিন সকালে শহরের গোয়ালচামট মোল্লা বাড়ী সড়ক শেষ মাথা বাইপাস রোড এর কাছে আবুল হোসেনের ধান খেত থেকে শওকতের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আয়নাল মোল্লাবাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।