করোনাভাইরাসে কারণে অসুস্থ হওয়ার ২৪ দিন পর বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দেন তিনি।
এদিকে করোনা জয় করে তার সাথে কর্মস্থলে ফিরেছেন অধিনস্থ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) সত্যজিৎ, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) জাহাঙ্গীর আলম ও অফিস সহায়ক লাভলী আক্তার। তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন।
ডা. মাসুদ রানা জানান, গত ৩ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতাল পাঠানো হয়। ১০ মে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ওই দিনই আবার দ্বিতীয় দফা নমুনা পাঠানো হয়। এরপর ১৩ মে রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া যায়। ১৩ মে তৃতীয় দফা নমুনা পাঠানো হলে ১৫ মে রাতে ফলাফল আবারও নেগেটিভ আসে। পরে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন তিনি।
ওই চিকিৎসক আরও জানান, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবে মার্চ ও এপ্রিল মাসে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় নানা কাজে যেতে হয়েছে তাকে। এসময় ২০০ জনের মতো মানুষের নমুনা সংগ্রহের কাজে অংশ নিয়েছেন তিনি।
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দৃঢ় মনোবল রাখতে হবে উল্লেখ করে এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, আইসোলেশেন ও কোয়ারেন্টাইনে থেকেও হটলাইনে টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছি। সদর উপজেলা ও পৌরসভায় বিদেশফেরত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন তদারকি করেছি।
চিকিৎসা শেষে ডা. মাসুদ রানা কাজে যোগ দেয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন।