কুড়িগ্রামে এ পর্যন্ত ৫৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে সদর হাসপাতালে দুই শিশুসহ ২২ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এ পর্যন্ত রেফার্ড করা হয়েছে ১০ জনকে এবং ২৫ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছে।
হাসপাতালে প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া রয়েছে শয্যা সংকটও। আসন্ন ঈদে সম্ভাব্য রোগীর চাপ সামলানোর মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় শঙ্কিত জেলাবাসী।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে শনাক্তকরণ পরীক্ষা করাসহ ডেঙ্গু কর্নার খোলা হলেও চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে সেবা। এছাড়া রোগীর চাপ বাড়লে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট স্বল্পতার কারণে রোগ নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যাবে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২৫০ শয্যার কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ৪২টি পদের বিপরীতে বর্তমানে চিকিৎসক রয়েছে ১১ জন। আর পুরো হাসপাতালের ২৬৬ পদের বিপরীতে জনবল রয়েছে মাত্র ১২৩ জন।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান সরদার জানান, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে এভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।’
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু মো. জাকিরুল ইসলাম জানান, গত তিন চারদিন আগে চিকিৎসক চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ২৫০ শয্যার একটি হাসপাতালে এত অল্পসংখ্যক চিকিৎসক ও জনবল দিয়ে সেবা দেওয়া আসলেই খুব কঠিন। তবুও আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করছি।