এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থী দুজনের নামে মামলা করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন- খড়িয়াটারী গ্রামের আফছার আলীর ছেলে লিটন মিয়া (২০) এবং তার বন্ধু একই গ্রামের আব্দুল মামুদের ছেলে ফরিদ (২১)। লিটন এইচএসসিতে লেখাপড়ার পাশাপাশি টংকারমোড়ে বাজারে একটি কম্পিউটার দোকান চালায়।
পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লিটনের দোকানে যাওয়া-আসার সুবাদে তার সাথে ওই ছাত্রীর পরিচয় এবং পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত মঙ্গলবার সকালে মোবাইল ফোনের মাধমে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় লিটন। সেজন্য তাকে পালিয়ে আসতে বলে সে। লিটন তার বন্ধু ফরিদকে পাঠিয়ে দেয় ওই ছাত্রীকে নিয়ে আসার জন্য। ওইদিন বিকালে প্রেমিকের বন্ধুর সাথে চলে আসে ওই ছাত্রী। পরে লিটন নিজের বাড়িতে না নিয়ে কৌশলে পাশ্বর্বর্তী আবু মুন্সীর বাড়িতে নিয়ে যান। ওই বাড়িতে লোকজন না থাকার সুবাদে লিটন মেয়েটিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রীকে কোনো কিছু না বলে পালিয়ে যায় লিটন। পরে উপায় না পেয়ে সে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয়। পরে বুধবার রাতে মামলা করে।
নির্যাতিতা ছাত্রীর বড়ভাই বলেন, ‘বিয়ের আশ্বাস দিয়ে লিটন আমার বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে। আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই।’
ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজীব কুমার রায় বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’