তবে এ সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি পালন ও নিরাপদ সুরক্ষা দূরত্ব রক্ষার্থে সরকারের নির্দেশনায় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। সবশেষ সোমবারও খুলনাতে করোনায় ও উপসর্গে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয় সূত্রমতে, গত ১০ মার্চ থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত এ পাঁচ মাসে খুলনা বিভাগে ১৪ হাজার ৩৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় সর্বাধিক ৪ হাজার ৭৪৭, যশোরে ২ হাজার ২৬৬, কুষ্টিয়ায় ২ হাজার ৭৪, ঝিনাইদহে ১ হাজার ১২৮, নড়াইলে ১ হাজার, বাগেরহাটে ৭২১, চুয়াডাঙ্গায় ৮৫৬, সাতক্ষীরায় ৮৫০, মাগুরায় ৫৮৯, মেহেরপুরে ২৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪২ জনের। এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৫৩৪ জন সুস্থ হয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইউসুপ আলী জানান, মাস্ক না পরা ও স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গসহ অন্যান্য অপরাধে খুলনায় গত জুলাই মাসে ৯১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২৪৪টি মামলায় ২৪৭ জনকে তিন লাখ ৬৩ হাজার ৯০৫ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন, মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা দূরত্বের ওপরে জেলা প্রশাসন প্রায় প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করছে। ঘরের বাইরে অবস্থানের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, শারীরিক দূরত্ব প্রতিপালনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসনের বিধি নিষেধে রয়েছে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে থ্রি হুইলার যেমন: মাহেন্দ্র, ব্যাটারি চালিত অটো ইত্যাদিতে দুইজন যাত্রীর বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না। কিন্তু ইজিবাইক ও মাহেন্দ্রে ৫-৬ জন করে যাত্রী নেয়া হচ্ছে। রাস্তায় যারা চলছেন তাদের অনেকেরই মুখে মাস্ক পরা নেই।
সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে থ্রি হুইলার যেমন: মাহেন্দ্র, ব্যাটারি চালিত অটো ইত্যাদিতে দুইজন যাত্রীর বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না। এছাড়া সকল বাস বাসস্ট্যান্ড থেকে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ও আসার ক্ষেত্রে যাতায়াত পথে বাসস্ট্যান্ড ব্যবহার করত হবে। যেখানে-সেখানে বাস থামানো যাবে না। তবে তাও মানা হচ্ছে না। ১০ জুন খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ জারি করেছিল।
খুলনা জেলা প্রশাসক মো. হেলাল হোসেন জানান, করোনা থেকে মুক্তির পথ সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকা। যার অন্যতম উপায় মাস্ক পরিধান করা ও সুরক্ষা দূরত্ব বজায় রাখা। সে লক্ষ্যে শুরু থেকেই খুলনা জেলা প্রশাসন সর্বসাধারণকে সতর্ক করতে কাজ করছে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আগামীতে আরও কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, মাস্ক না পরা ও সুরক্ষা দূরত্ব বজায় না রাখা মানেই আত্মহত্যা করা এবং অন্যকে হত্যা প্রচেষ্টা চালানো। এটা সরকারি বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, তেমনি ধর্মীয় অনুশাসনেরও পরিপন্থী। সকলের উচিত মাস্ক পরা।