তারা হলেন- কাশিমপুরের রওশন মার্কেট এলাকার বাসিন্দা ও ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার বালা নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে সুরুজ মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা খাতুন (৪৫)। অপরজন পূবাইলের কাঁচামাল বিক্রেতা আবুল কাসেম জনি (২৭)
পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক ভুঁইয়া জনান, শুক্রবার ভোরে কে বা কারা জনির মোবাইল ফোনে কল করে নগরের নারায়ণকুল এলাকার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর ফেরেননি। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খবর আসে স্থানীয় আব্দুস সালামের মুরগির খামারের সামনে ধানখেতে তার রক্তাক্ত লাশ পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। তার মাথার পেছনে ও হাতের কনুইতে জখম রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
কাশিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সুরুজ তার তৃতীয় স্ত্রী ফিরোজাকে নিয়ে রওশন মার্কেট এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ফিরোজা বাড়িতে বুয়ার কাজ করতেন। আর সুরুজ পেশায় ছিলেন দিনমজুর। বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ও দাম্পত্য বিষয় নিয়ে কলহ চলছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে সুরুজ ঘরে থাকা শিল দিয়ে ফিরোজার মাথায় আঘাত করে। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে ফিরোজা মারা যান। এ ঘটনায় স্বামী সুরুজকে আটক করা হয়েছে।