বরগুনার ঘূর্ণিঝড় অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১০১০ কিলোমিটার দুরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। উপকূলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীতে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগর ও নদী সংলগ্ন মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকাসহ জেলেদের নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখতে খোলা রাখা হয়েছে দুই উপজেলার ১২৮টি সাইক্লোন সেল্টার। এর মধ্যে আমতলীতে ৮০টি এবং তালতলীতে ৪৮টি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দুই হাজার ৫০০ সেচ্ছাসেবক। সাগর ও নদীতে মাছ ধরা ট্রলার, নৌকা ও মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে সোমবার থেকে উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্র ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি নিয়েছে।
এদিকে দুই উপজেলার সাগর ও পায়রা নদী সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাহিরে বালিয়াতলী, ঘোপখালী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া, লোচা, আমতলী পৌরসভার ফেরিঘাট, শ্মশাণঘাট, পানি উন্নয়ন বোর্ড, আঙ্গুলকাটা, গুলিশাখালী, গুলিশাখালীর জেলে পল্লী, পঁচাকোড়ালিয়া, ছোটবগী, মৌপাড়া, গাবতলী, চরপাড়া, তালতলী, খোট্টারচর, তেঁতুলবাড়িয়া, জয়ালভাঙ্গা, নলবুনিয়া, ফকিরহাট, নিদ্রাসকিনা ও আমখোলাসহ উপকুলের অধিকাংশ এলাকায় সাইক্লোন সেল্টার না থাকায় এ সব অঞ্চলের অন্তত লক্ষাধিক মানুষ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ঝুঁকিতে রয়েছে।
উপকুলীয় এলাকায় তেমন সাইক্লোন সেল্টার না থাকায় সাগর সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ ঝুঁকিতে বসবাস করছে জানিয়ে তালতলী ফকিরহাট বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি ও ইউপি সদস্য মো ছালাম হাওলাদার বলেন, এ মুহূর্তে সাগরে ফকির হাটের দুই শতাধিক মাছ ধরা ট্রলার রয়েছে। ওই সকল মাছ ধরা ট্রলার ও জেলে নৌকা কিনারে নিরাপদে আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া সাগর পাড়ে জেলেদের নিরাপদে আনতে ইউনিয়ন পরিষদের সেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে।
সহকারী পরিচালক আমতলী ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী কর্মকর্তা কেএম মাহতাবুল বারী বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে সেচ্ছাসেবকরা কাজ শুরু করছেন।
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো মফিজুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় দুই উপজেলায় ১২৮টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. মনিরা পারভীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন ও জেলেদের নিরাপদ সাথানে থাকতে মাইকিং করা হয়েছে। উপজেলার সকল সাইক্লোন সেল্টার খোলা রাখা রয়েছে। সাইক্লোন সেল্টারে মানুষ যাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে থাকতে পারে সে উপযোগী করা হয়েছে।