শনিবার সকাল থেকে বন্দরের মূল জেটির জাহাজগুলোকে বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বন্দরে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং সহ সকল অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেয়া হয়েছে। বন্দরে জারি করা হয়েছে নিজস্ব সর্তকতা এ্যালার্ট-৪। অভ্যন্তরীণ জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযানগুলো শাহ আমানত সেতুর উজানে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজগুলো কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার উপকূলে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের মহাবিপদ সংকেত জারি হলেও চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার সারোয়ার ই আলম জানান, আমাদের বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামাসহ সকল অপারেশনাল কার্যক্রম এখনও স্বাভাবিক আছে। যেকোন ধরনের পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। পরিস্থিতি বুঝে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করা হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও ঘনীভূত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের সুন্দরবনের ওপর দিয়ে খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
সকাল ৯টায় আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলের’ প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। বাংলাদেশের দক্ষিণ উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসায় মোংলা ও পায়রাকে সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪নং স্থানীয় সর্তকর্তা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।