বিজয় কুমার বিশ্বাস (৩০) হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন পর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার দোকানদার আবদুর রহমান সিআইডির কাছে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিআইডি জানায়, নয় মাস আগে বিজয়ের কাছ থেকে আবদুর রহমান দেড় লাখ টাকা ধার নেন। শর্ত ছিল মাসে মাসে লাভ দিতে হবে। কিন্তু কয়েক মাস পর লাভ দেয়া বন্ধ করে দেন আবদুর রহমান। এরপর বিজয় মূল টাকা ফেরত চাইলে গলায় তার পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
গত ১৪ অক্টোবর রাতে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। পরদিন পাহাড়তলী থানার অলঙ্কার মোড়ের আলিফ গলির সামনে থেকে বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বিজয়ের লাশ শনাক্ত করেন স্বজনেরা।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন। প্রথমে থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। পরে সিআইডি তদন্ত শুরু করে।
সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ শনিবার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নগরীর ইপিজেড নেভি হাসপাতালসংলগ্ন এলাকায় একই মার্কেটে দোকান ছিল আবদুর রহমান ও বিজয়ের।
সম্প্রতি ধার দেয়া টাকা ফেরত চান বিজয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে টাকা না দিতে তাকে মারার পরিকল্পনা করেন আবদুর রহমান। এরই অংশ হিসেবে বিজয় ১৪ অক্টোবর সকালে দোকান খুলতে গেলে তাকে আবদুর রহমান তার দোকানে ডেকে নিয়ে যান। পরে দোকানের কর্মচারী নাছির উদ্দিনকে নিয়ে দোকানের ভেতর গলায় তার পেঁচিয়ে বিজয়কে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ জানান, পলাতক দোকান কর্মচারী নাছির উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।