শনিবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার সেন্টমার্টিন হোটেলের সামনের প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে। পরে অবশ্য পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল থেকেই আগ্রাবাদের প্রধান সড়কে নেমে কয়েক শ শ্রমিক বকেয়া বেতন ও ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় সড়ক দিয়ে যাওয়া মালবাহী একটি গাড়ি থেকে কয়েক বস্তা চাল ও কয়েক বাক্স ফল নিয়ে যান সড়ক অবরোধকারী শ্রমিকরা। পরে পুলিশ সদস্যরা শ্রমিকদের থেকে ফলের একটি বাক্স উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
স্থানীয়রা জানান, ফ্রাংক গ্রুপের একটি পোশাক কারখানার কয়েক শ শ্রমিক মিলে এ সড়ক অবরোধ করেন। করোনাভাইরাসের কারণে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে ওই কারখানাও বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে গত মাসের বেতন না পাওয়ায় ও ত্রাণের দাবিতে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ দাশ বলেন, ‘শতাধিক শ্রমিক রাস্তায় অবস্থান নেন। তারা বেতনের দাবিতে মিছিল করেন। দ্রুত এ বিষয়ে মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তারা আগামী ২৮ এপ্রিল বেতন-ভাতা দেয়ার অঙ্গীকার করেছে। পরে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়।’
এদিকে, বেলা ১১টার দিকে নগরের হালিশহর বড়পুল এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা চালকরা সড়কে জড়ো হয়ে ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের বুঝিয়ে আধা ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান হালিশহর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম।
এর আগে, গত বুধবারও নগরের আঁতুরার ডিপো এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। সে সময় বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।