বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর বাকলিয়া থানার কর্ণফুলি শাহ আমানত সেতুর উত্তর পাড় থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায় সকাল ৮টায় নির্বাচন শুরু আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাকলিয়া থানা পুলিশের একটি দল চেক পোস্ট বসিয়ে এসব বহিরাগতদের আটক করে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রাথীর পক্ষে এসব বহিরাগতকে পটিয়া ও চন্দনাইশ থেকে আনা হয়েছে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, ১৭ নং ওয়ার্ডের উপ নির্বাচনে যাতে কোন বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করে বলেন, জোর করে ভোট কেন্দ্র দখলে নিতে ও নির্বাচনী কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে টাকার বিনিময়ে বাসভর্তি করে এসব বহিরাগতদের নগরে নিয়ে আসা হয়।
তারা জানিয়েছে এসব বহিরাগতরা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ও কাউন্সিলর প্রার্থী মাসুদ করিম টিটুর হয়ে কাজ করার জন্য নগরে আসছিলেন। আমরা আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
ভোটাররা যাতে সহজে ভোট দিতে পারে তারজন্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এই উপ-নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তারা হলেন- মো. মাসুদ করিম টিটু (রেডিও), একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক (মিষ্টি কুমড়া), মোহাম্মদ শহিদুল আলম (ঘুড়ি), মো. শফি (লাটিম), শাহেদুল ইসলাম (টিফিন ক্যারিয়ার) ও শেখ নায়েম উদ্দীন (ঠেলাগাড়ি) প্রতীক পেয়েছেন। এরমধ্যে একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক (মিষ্টি কুমড়া) বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী। বাকীরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল বাকলিয়া ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম জাফরুল হক মারা যাওয়ায় গত ১২ জুন ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৫ জুলাই এ ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।