রবিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের সুপার ডা. হাবিবুল করিম ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম সুজাউদ্দৌলা রুবেল।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, সুমন নামের ওই কিশোরের (১৬) বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। বাবা-মায়ের সাথে রাগ করে সুমন ঢাকায় চলে আসেন। অসুস্থ হওয়ার আগে তিনি ঢাকার সদরঘাটে হকারের কাজ করতেন। ১৭ মার্চ থেকে জ্বর, সর্দি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন সুমন।
অসুস্থতার কারণে মাথা ঘুরে পড়ে গেলে সদরঘাটের লোকজন তাকে যাত্রী মনে করে চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চে উঠিয়ে দেয়। শুক্রবার তিনি চাঁদপুর লঞ্চঘাটে নামলে তার অসুস্থতা দেখে কয়েকজন লোক সাড়ে ১১ টায় চিকিৎসার জন্য তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, তার অসুস্থতার লক্ষণ দেখে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ হলে তিনি বিষয়টি তাৎক্ষণিক হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিব উল করিম ও সহকারী পরিচালক ডা. মাহবুবুর রহমানকে জানান। তারা আলোচনা করে সুমনের অসুস্থতার বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্রের (আইইডিসিআর) কট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন। আইইডিসিআর ওই যুবককে ঢাকায় না পাঠিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখার পরামর্শ দেয়। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় আইইডিসিআর কট্রোল রুম বিভাগের একটি টেকনোলজিস্ট টিম।
ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত নন বলে আইইডিসিআর নিশ্চিত করেছে।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াতউল্লাহ জানান, জেলায় ১৩৭ বিদেশফেরত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।