ভারত ফারাক্কার গেট খুলে দিলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা ও মহানন্দা নদীতে হঠাৎ করে পানি বাড়তে শুরু করে। এতে সদর, শিবগঞ্জ ও গোমস্তাপুর উপজেলায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ডুবে যায়। পানি বন্দী হয়ে পড়ে ৫৮ হাজার মানুষ। তবে বর্তমানে পদ্মা ও মহানন্দায় পানি কমতে শুরু করেছে। ফলে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে দুর্গতদের মাঝে। কিন্তু কয়েকটি এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়ায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গোমস্তাপুর উপজেলার বাংগাবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান সাদেরুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নের ব্রজনাথপুর এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে মহানন্দা নদীতে ব্যাপক ভাঙন চলছে। এখন পর্যন্ত ২০টি বাড়ি, আম বাগান, ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে। নদী এখন গ্রামের ভেতর চলে এসেছে। যেভাবে ভাঙছে তা চলতে থাকলে ৫০০-৭০০ ঘর থাকবে না, সব নদীতে চলে যাবে। এছাড়া, কমিউনিটি ক্লিনিক, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাজার এখন হুমকির মুখে।
তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন এবং ভাঙন ঠেকাতে উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
গোমস্তাপুর ইউপির চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন জানান, তার ইউনিয়নের নয়দিয়াড়ী এলাকায় কয়েক বছর থেকে বন্যা আসলেই মহানন্দা নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। এবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। এর আগে বেশ কিছু বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এবার ২০-২৫ ফুট ভেঙে গেছে। ৫০টি বাড়ি এখন হুমকির মুখে। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলা শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ শাহিদুল আলম বলেন, নয়দিয়াড়ী এলাকার ভাঙন ঠেকাতে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। বাংগাবাড়ী এলাকার ভাঙন প্রতিরোধেও উদ্যোগ নেয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁপাইনবাবগঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে পদ্মা নদীর পানি বিপদ সীমার ৫৫ সেন্টিমিটার ও মহানন্দার পানি ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীতে ১৩ সেন্টিমিটার ও মহানন্দা নদীতে ৬ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।