নিহতরা হলেন- পঞ্চগড় সদর উপজেলার চেকরমারি গ্রামের ইজিবাইক চালক রফিক (২৮), সদর উপজেলার বদিনাজোত গ্রামের আকবর আলী (৭২) ও তার স্ত্রী নুরিমা (৬৫), তেঁতুলিয়া উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামের লাবু ইসলাম (২৫) ও তার স্ত্রী মুক্তি (১৯), সদর উপজেলার রায়পাড়া গ্রামের মাকুদ হোসেন (৪৩) এবং সাহেবজোত গ্রামের নারগিস বানু (৪২)।
দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এনে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। ঘটনার পর পরই জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলীসহ ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে পড়েন। আড়াই ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়াগামী একটি মিনিবাস ছাগল বাঁচাতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা ইজিবাইকটিকে চাপা দেয়। এতে ইজিবাইকের চালক রফিকসহ পাঁচজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত দুইজনকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, লাবু ইসলামের সাথে ৪৫ দিন আগে মুক্তির বিয়ে হয়।
পঞ্চগড় ফয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিরঞ্জন সরকার জানান, খবর পেয়ে তিনিসহ ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যান। তিনি ঘটনাস্থলে পাঁচজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এদের মধ্যে দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষ।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সিরাজউদৌলা পলিন জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত আকবর আলী ও মুক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পুলিশ জানিয়েছে, মিনিবাসটিকে পুলিশ জব্দ করেছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।