গ্রেপ্তার মো. নূর নবী চৌধুরী সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামের মকবুল আহমেদ চৌধুরীর ছেলে ও দাগনভূঞা শাখার সিনিয়র অফিসার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে অভিযান চালিয়ে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ কেজি স্কুলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদক নোয়াখালী কার্যালয় সূত্র জানায়, আটক ব্যাংক কর্মকর্তা নূর নবী চৌধুরী সোনালী ব্যাংক সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা শাখায় ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কর্মরত থাকা অবস্থায় ৩০ জন গ্রাহকের নামে ভুয়া ঋণের আবেদন সংগ্রহ করে। এরপর আবেদনকারীদের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে প্রকৃত গ্রাহকদের অনুকূলে ঋণের টাকা বিতরণ না করে চরবাটা ২নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা মেম্বার আলেয়া বেগম, চরবাটা গ্রামের মো শহীদ উদ্দিনের ছেলে মহি উদ্দিন ভুঁইয়া ও উত্তর কচ্ছপিয়া গ্রামের নুরুজ্জামান প্রকাশ বাচ্চু মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলামের যোগসাজে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া ঋণবন্ড তৈরি করে ১২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
পরবর্তীতে এই কর্মকর্তা ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সোনালী ব্যাংক সুবর্ণচর শাখায় কর্মরত অবস্থায় ওই শাখার সিনিয়র অফিসার ক্যাশ নেছার উদ্দিন আহমেদ, কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম ও আব্দুল গফুরের যোগসাজে একই কায়দায় ২১ জন গ্রাহকের নামে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করে।
এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা সুবেল আহমেদ জানান, নূর নবী চৌধুরী পৃথকভাবে ৫১ জন গ্রাহকের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে মোট ১৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।