বুধবার কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আনোয়ারুল হক বলেন, সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাকে প্রত্যাহার করে ডিএসবির বিল্লাল হোসেনকে পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
পরিদর্শক সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিনে নারী নির্যাতন, যৌতুক, পরকীয়া ও এক ব্যবসায়ীকে থানায় আটকে দেড় কোটি টাকার চেক লিখিয়ে নেয়ার অভিযোগে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলা করেছেন তার দুই স্ত্রী আর অপরটি করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন।
গত ২৮ নভেম্বর কুমিল্লার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তার প্রথম স্ত্রী দুই সন্তানকে সাথে নিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার বিচারক আবদুল আউয়াল মামলাটি আমলে নিয়ে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। মামলায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতন, যৌতুক ও পরকীয়ায় আসক্তির অভিযোগ আনা হয়।
এছাড়া গত ১ ডিসেম্বর এক ব্যবসায়ীকে তার হোটেল থেকে উঠিয়ে নিয়ে থানায় আটকে দেড় কোটি টাকার চেক লিখিয়ে নেয়ার অভিযোগে পরিদর্শক সালাউদ্দিনসহ তার ব্যবসায়িক অংশীদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুরস্থ সোনা মিয়ার ছেলে মহিউদ্দিন। একই দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর আদালতে ২০ লাখ টাকার যৌতুকের মামলা করেন পরিদর্শক সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী তাহমিনা আক্তার পান্না। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেড্ডা এলাকার সরাফত উল্লাহর মেয়ে। ২০১৪ সালে পান্নাকে ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।