শনিবার মহাখালীর ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এমআইএস) বিভাগের মিলনায়তনে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকার নতুন আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে সুসজ্জিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। যাদের মধ্যে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ২০০০, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কনভেনশন সেন্টারে ১৩০০ ও উত্তরার দিয়াবাড়িতে ৪টি বহুতল ভবনে ১২০০ বেডসহ মোট সাড়ে ৪ হাজার করোনা আইসোলেশন বেড দ্রুতই প্রস্তুত করা হচ্ছে। এগুলোর পাশাপাশি ঢাকার সরকারি মুগদা হাসপাতাল, নিটোর হাসপাতালসহ আরও বেশকিছু হাসপাতাল করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হবে।
অন্যদিকে, দেশের প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও পিপিই সরবরাহসহ নানাভাবে সরকারকে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এ ভাইরাসকে মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত রয়েছে, জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার ব্রিফিংকালে করোনায় সম্প্রতি দেশের চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, পুলিশ, সেনাসদস্য, গণমাধ্যমকর্মীসহ অনেক পেশাজীবী ব্যক্তি তাদের কাজে নিয়োজিত অবস্থায় আক্রান্ত হচ্ছেন জানিয়ে তাদের প্রতি সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ব্রিফিংকালে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ ও আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাও উপস্থিত থেকে কথা বলেন।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় এখন পর্যন্ত রাজধানীতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৫৫০ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪০০ বেড সরকারি ও ১৫০ বেড ব্যক্তিমালিকানাধীন হাসপাতালের। এছাড়া দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬৭৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৪৮টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৮৫০টি, বরিশাল বিভাগে ৪৮৩টি, সিলেট বিভাগে ১১৮টি, রাজশাহী বিভাগে ১২০০টি, খুলনা বিভাগে ১৮০টি ও বরিশাল বিভাগে ৭৮৭টি বেডসহ সারা দেশে মোট ৬৬৯৩টি বেড শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্যই আলাদাভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।