বুধবার সকালে নরসিংদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক কাজী শামসের আহম্মেদ এ তথ্য জানান।
সাবিনা আক্তার নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের আফিয়া আক্তারের মেয়ে। ধর্ষক সাইফুল একই উপজেলার দুলালপুর (খালপাড়) গ্রামের মৃত হানিফ উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব জানায়, গত ৬ জুন বিকালে সাবিনা আক্তার নামে এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সিএনজিযোগে স্থানীয় কাজীরচর পূর্বপাড়া গ্রামের মো. নাজিম উদ্দিনের কলাবাগানের ভেতর নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে সাইফুল।
সাবিনা বাধা দিলে সাইফুল তার জামা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে কলা খেতে ফেলে রেখে চলে যায়। যাওয়ার সময় সাবিনার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে যায় সাইফুল।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই সাইফুল আত্মগোপনে চলে যায়। গত ৮ জুন স্থানীয় লোকজন ওই কলা বাগানে লাশ দেখে শিবপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এঘটনায় সাবিনার মা আফিয়া আক্তার বাদী হয়ে শিবপুর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে র্যাব খবর পেয়ে তাদের একটি গোয়েন্দা দল এএসপি মো. আলেপ উদ্দিনের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু করে। গত মঙ্গলবার র্যাব-১১ এর একটি বিশেষ দল শিবপুর থানার কলেজ গেট এলাকা থেকে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানায় র্যাব।
সাইফুলের দেয়া তথ্যে তার বাড়ির বাথরুম থেকে ভিকটিম সাবিনার মোবাইল ফোন ও বাড়ির পাশের একটি নোংরা নর্দমা থেকে সাবিনার ব্যবহৃত ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করে র্যাব।