শুক্রবার মধ্যরাতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপদ সীমার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধি হওয়ায় হাতীবান্ধা-বড়খাতার তালেব মোড়ের বাইপাস সড়ক ডুবে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে সড়কটি ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন নদীর তীরবর্তী মানুষরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও নামমাত্র কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রতিবারের মতো এবারও বোর্ডের পক্ষ থেকে ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ। তবে তা খুব একটা কাজে আসছে না।
পানিতে কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ডুবে গেছে। মাথা গোঁজার আশ্রয় হারিয়ে উঁচু বাঁধে মানবেতর দিন কাটছে হাজারও মানুষের। লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তিস্তা পাড়ের মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৪ ঘণ্টার ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিস্তা ও ধরলার পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া শুরু হয়। এ নিয়ে চতুর্থবার তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বেড়েছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, মনে হচ্ছে না পানি কমে যাবে। তিস্তা তীরবর্তী মানুষদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।