রবিবার ঘটনার প্রতিবাদে রোগীর স্বজনসহ বিক্ষুদ্ধ লোকজন হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধন শেষে নীলফামারী সিভিল সার্জন দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ মিছিল এবং সিভিল সার্জনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
এ ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ভুক্তভোগী রোগীর ছেলে সানোয়ার হোসেন জানান, শনিবার রাত ১০টায় তার মা মল্লিকা বেগমকে (৫০) অসুস্থ অবস্থায় সদর আধুনিক হাসপাতালে নেয়া হয়। এসময় জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক না থাকায় উপস্থিত কর্মচারীরা তাকে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে পাঠায়। ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্স ছায়া রানী রোগীকে মেয়াদোত্তীর্ণ সোডিয়াম ক্লোরাইড স্যালাইন পুশ করেন এবং হাসপাতালে আরও চারজন রোগীকে একই স্যালাইন প্রয়োগ করা হয়।
তিনি বলেন, রাত ১২টার দিকে যখন ব্যাপারটি বুঝা যায় ততক্ষণে স্যালাইনের বেশীরভাগই শরীরে প্রবেশ করেছে। বিষয়টি নিয়ে দায়িত্বরত নার্সের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে আশপাশের লোকজন হাসপাতালে জড়ো হতে থাকেন।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। হাসপাতালের স্টোরে মেয়াদোত্তীর্ণ আরও ওষুধ ও স্যালাইন রয়েছে এমন অভিযোগে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাতেই হাসপাতালের স্টোর সিলগালা করা হয়।
নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. রঞ্জিত কুমার বর্মন জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন রোগীকে দেয়া খুবই দুঃখজনক। এতে রোগীর বিপদও হতে পারত। এ ঘটনায় ডা. এএসএম রেজাউল করিমকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।