ঈদ শেষে স্ত্রীসহ আরও ১৩ জন এক সাথে নারায়ণগঞ্জে চলে যান। বর্তমানে সেখানকার একটি টেক্সটাইল মিলে তিনি চাকরি করছেন।
শনিবার রাতে আইসোলেশন ওর্য়াডে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে গেলে এই তথ্য বেরিয়ে আসে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ১০ মে ঢাকা থেকে ওই গ্রামের মবু মিয়ার ছেলে মনজুরুল ইসলাম (২৫) গ্রামের বাড়িতে স্ত্রীসহ ঈদ করতে আসেন। বাড়িতে আসার পর তার শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলে গত ২৪ মে তিনিসহ তার পরিবারের সকলের নমুনা সংগ্রহ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মীরা। ২৫ মে ঈদ শেষে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে তিনি ও তার স্ত্রীসহ আরও ১৩ জন ঢাকা চলে যান। এদিকে শনিবার মনজুরুল ইসলামের নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসে।
এ বিষয়ে জানতে মোবাইলে মনজুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি স্বীকার করে তিনি জানান, বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন এবং নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করছেন।
এ ব্যাপারে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু হাসান মো. রেজওয়ানুল কবীর বলেন, 'আমরা রোগীকে তার বাড়িতে না পেয়ে তার মোবাইলে কল দিয়ে কথা বলি। তিনি নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি ট্রেক্সটাইলে চাকরি করছেন। বিষয়টি আমরা নারায়ণগঞ্জের স্বাস্থ্য বিভাগকে অবগত করেছি।'