উপজেলার আনাচে কানাচে তার মুক্তির দাবি সম্বলিত পোস্টারে ছেয়ে গেছে। পোস্টারগুলো উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়েও সাঁটানো হয়েছে। সোমবার রাত থেকে এসব পোস্টার লাগানো হয়েছে।
পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জনাব রুহুল আমিন ভাই এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’
সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘প্রচারে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ, সকল সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নাম উল্লেখ করা হলেও এর সাথে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মফিজুল হক দাবি করেন, ‘এই পোস্টারিংয়ের সাথে সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। দলীয় হাই কমান্ড থেকে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, রাতের আঁধারে কে বা কারা পোস্টার লাগিয়েছে তিনি জানেন না।
সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিরন দাবি করেন, ‘পোস্টারিংয়ের সাথে যুবলীগের কেউ জড়িত নয়। সাংগঠনিকভাবে কাউকে এসব পোস্টারিংয়ের দায়িত্বও দেয়া হয়নি। এটা রুহুল আমিন সাহেবের শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাজ।’
নুসরাত হত্যা মামলায় গত ২৯ মে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদানের পর ৩০ মে অধ্যাপক মফিজুল হককে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।
রুহুল আমিন সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার সহ সভাপতি ছিলেন ও অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সহযোগী।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তার মা শিরিন আক্তার।
৬ এপ্রিল আলিম আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে গেলে অধ্যক্ষের অনুসারীরা নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গত ১০ এপ্রিল নুসরাত মারা যান।