বুধবার বিকালে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় অধ্যক্ষের দপ্তরের সামনের ওয়াল কেবিনেটের ভেতর থেকে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দল গ্লাসটি উদ্ধার করেছে।
নুসরাত হত্যার ঘটনায় এক দিনের রিমান্ডে থাকা শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম, জাবেদ হোসেন ও যোবায়ের আহম্মদকে নিয়েই এ অভিযান চালায় পিবিআই।
নুসরাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম গ্লাসটি উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘রিমান্ডে থাকা মামলার আসামি শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম, জাবেদ হোসেন ও যোবায়ের আহম্মদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিকালে তাদের তিনজনকে নিয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসায় যায় পিবিআই। মাদরাসার প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় অধ্যক্ষের দপ্তরের সামনের ওয়াল কেবিনেট থেকে গ্লাসটি উদ্ধার করা হয়।’
এসময় পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, পরিদর্শক মো. মোনায়েম হোসেন, পরিদর্শক লুৎফুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ।
গত ৬ এপ্রিল সকালে রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান। সে সময় মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে রাফি ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যান।
সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।