গ্রেপ্তার ওসমান আলী (৩৫) সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোরে শহরের সিংগা বাইপাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওসমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সময়ে অপর চার আসামি রাসেল আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ঘন্টু, আলী হোসেন ও সঞ্জু হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে রাসেল আহমেদ ও আলী হোসেন ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোবাইলে প্রেমের সূত্র ধরে পাবনা সদর উপজেলার সাহাপুর যশোদল গ্রামের এক গৃহবধূকে গত ২৯ আগস্ট রাতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে রাসেল নামের এক যুবক। তারপর আরও কয়েকজন তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর।
পরে ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে ৫ সেপ্টেম্বর পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে, পুলিশ অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করে। তবে মামলা নথিভুক্ত না করে ভুক্তভোগী নারীর সাথে থানা চত্বরে অভিযুক্তের বিয়ে দিয়ে ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা চালায়।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন ও মামলা নথিভুক্ত করা হয়। আর তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর সত্যতা পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল হককে প্রত্যাহার ও উপ-পরিদর্শক একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এদিকে পাবনায় ধর্ষণের শিকার নারীর সাথে থানায় অভিযুক্তের বিয়ের ঘটনায় পাবনা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের নির্দেশে পাবনা জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইবনে মিজান ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কে এম আবু জাফর। কমিটিকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।