রবিবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুস্তম আলী এ নির্দেশ দেন। এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। বাকিদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
পাবনা জজকোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ওবায়দুল হক জানান, মামলার ৫২ জন আসামির মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন। ৩০ জন এজলাসে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- আব্দুল জব্বার, ফজলুর রহমান, শামসুল আলম, সেলিম আহমেদ, এনামুল কবির, হাফিজুর রহমান মুকুল, আনোয়ার হোসেন জনি, ইসলাম হোসেন জুয়েল, নেফাউর রহমান রাজু, শাহ আলম লিটন, মাহবুবুর রহমান পলাশ, আলমগীর হোসেন, তুহিন বিন সিদ্দিক, পলাশ, রেজাউল করিম শাহিন, ফিরোজুল ইসলাম পায়েল, কল্লোল, শ্যামল, এরাম, আটল, শামসুর রহমান শিমুয়া, বরকত আলী, আক্কেল আলী, আজমল হোসেন, মোক্তার হোসেন, মোকলেছুর রহমান, রবি, হাকিমুদ্দিন টেনু।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, সোমবার থেকে যুক্তিতর্ক শুরু হবে, যুক্তিতর্ক শেষ হলে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান মুক্তা ও অ্যাডভোকেট সালমা আহমেদ শিলু। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম গ্যাদা।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তোতা বলেন, ‘এটা একটা রাজনৈতিক মামলা। আমরা আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মোকাবিলা করবো।’
পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর চালানো হামলার মামলায় আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করায় আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আশা করি সাক্ষীদের সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বিচারক ন্যায় বিচারের রায় দেবেন।’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা সাংগঠনিক সফরে খুলনা থেকে রাজশাহী অভিমুখে ট্রেনযোগে বের হন। পথিমধ্যে ঈশ্বরদী স্টেশনে তার একটি নির্ধারিত পথসভা ছিল। তাকে বহনকারী ট্রেনটি পাকশী স্টেশনে পৌঁছার পরপরই ওই ট্রেনে ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা চালানো হয়।