নিহত মমিনুর রহমান (৫০) চৌগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের শামসুদ্দিন ওরফে ইসমাইলের ছেলে। মমিনুর আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে জানান চৌগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তনিছুর রহমান।
নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগম জানান, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মমিনুর বাড়ির পাশের লিজ নেয়া পুকুরের চারপাশে নেট দিয়ে ঘিরছিলেন। এসময় তার খালাতো ভাই একই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইউনুছ আলী, আলম ও মশিয়ারের নেতৃত্বে আলমের ছেলে তুষার, মশিয়ারের ছেলে সুমন, আলমের শ্যালক আবুবক্করের ছেলে নান্নু এবং আলমের ভাগ্নে চুড়ামনকাঠি গ্রামের রাসেল কিছু বুঝে ওঠার আগেই মমিনুরকে এলোপাতাড়িভাবে রামদা দিয়ে কোপাতে থাকে। এসময় মমিনুরের চিৎকারে গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুব্রত কুমার বাগচী মমিনুরকে মৃত বলে ঘোষণা করে বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের দুই হাত, বুক ও পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজিব বলেন, একটি পুকুর লিজ নেয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটেছে। মমিনুর ও ইউনুস দুজন আপন খালাতো ভাই এবং দুজনেই আওয়ামী লীগ কর্মী। মমিনুরের লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।