জরিমানার অর্থ আদায় করা হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযানে থাকা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পুলিশ ও সংবাদকর্মীদের লাঞ্ছিত করেন। হামলা চালিয়ে ক্যামেরা ভাঙচুর ও এক সংবাদকর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) সিব্বির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চত করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গার খুচরা ও পাইকারী বাজারে অন্যান্য জায়গার তুলনায় অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের এনডিসি সিব্বির আহমেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন অভিযান চালান। অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা ও আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) সিব্বির আহমেদ জানান, অভিযান চলাকালে অতিরিক্ত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির যথাযথ প্রমাণ ও মূল্য তালিকা না টানিয়ে ইচ্ছামতো পণ্য বিক্রির প্রমাণও পাওয়া যায়। এই অভিযোগে বড় বাজারের (নিচের বাজার) আড়ৎ পট্টির নাফিসা বাণিজ্যলয়কে ২০ হাজার টাকা ও জাহাঙ্গীর বাণিজ্যলয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
লাঞ্ছিত সংবাদকর্মী এস এম শাফায়েত জানান, অভিযানের খবর পেয়ে তারা সংবাদ সংগ্রহে যান। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে ঘেরাও করে রাখার ছবি তুলতে গেলে তাকে এবং তৌহিদুর রহমান তপুকে মারধর করে ব্যবসায়ীরা। তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘অবশ্যই এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে আমি এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি।’
ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু বলেন, ‘শুধুমাত্র ভুল বোঝাবুঝি থেকে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাজার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।’