বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের পশ্চিম নান্দিয়ারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুস সবুর ধুনট উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও নান্দিয়ারপাড়া এলাকার রহিম বকসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আব্দুস সবুরের সাথে জমিজমা নিয়ে নিমগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইমলামের বিরোধ চলছিল। বুধবার দুপুরে কামরুল ইসলাম বিরোধ আপোষের কথা বলে মোবাইল ফোনে আব্দুস সবুরকে পশ্চিম নান্দিয়ারপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কামরুল ইসলাম, একই গ্রামের সামস্ উদ্দিনের ছেলে সবুজ মিয়া, শফিকুল ইসলামের ছেলে সাগর মিয়া ও সুরুজ মিয়ার ছেলে বিপুল হোসেনসহ আরও ৪/৫ জন ব্যক্তি অতর্কিতভাবে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে সবুরকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়।
পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে ধুনট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শেখ মতিউর রহমান জানান, প্রায় ১০ মাস আগে ইয়াবা বড়িসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ায় নিমগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে কামরুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সবুরকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, লাশের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।