শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে শহরের নামাজগড় থেকে ধরমপুর রোডের ধুন্দার সেতুর কাছে এ ‘গোলাগুলির’ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বর্গ শহরের ঠনঠনিয়া শহীদ নগরের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে। পিতা লিয়াকতও ২০০৪ সালে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর ভাষ্যমতে, ‘রাত দেড়টার দিকে শহরের নামাজগড় থেকে ধরমপুর রোডের ধুন্দার সেতুর কাছে দু’দল সন্ত্রাসীর মধ্যে গোলাগুলি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্বর্গকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।’
তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, ও একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ মর্গে রাখা হয়েছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, স্বর্গের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ বেশ কিছু মামলা রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কিশোর বয়সেই স্বর্গ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে বগুড়া শহরে পরিচিত হয়ে ওঠে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে স্বর্গ দুইটি খুনের সাথে জড়িত হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও ছিল দীর্ঘদিন। কারাগারে থাকাকালে সেখানেই সন্ত্রাসীদের সাথে একটি গ্রুপ তৈরি করে সে। তিন মাস আগে স্বর্গ জামিনে মুক্তি পায়। এরপর সে নানাবাড়ি নন্দীগ্রাম থানা এলাকায় আশ্রয় নিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল।
এছাড়াও স্বর্গ জামিনে মুক্তি পেয়ে বগুড়া সদর থানার সাবেক এক ওসিকে হত্যার হুমকি দেয়। ২০০৪ সালে তার বাবা লিয়াকত ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হওয়ার সময় ওই ওসি বগুড়া সদর থানায় কর্মরত ছিলেন।