বৃহস্পতিবার দুপুরে কাশিমপুর-২ থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাকে পরিবারের লোকজন বাড়ি নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জেল সুপার আব্দুল জলিল।
২০০৫ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে এক মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আরও পড়ুন: নির্দোষ আরমানের কারাভোগ: ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ স্থগিত
বাবার নামে মিলের খেসারত: নির্দোষ আরমানকে কারামুক্তি ও ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
আসামিদের দেয়া তথ্যে তাদের সহযোগীদের ধরতে ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) নূরে আলম সিদ্দিকী পল্লবীর বিহারি ক্যাম্পের এক বাসায় অভিযান চালিয়ে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ শাহাবুদ্দিন বিহারি ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য আইনে পল্লবী থানায় মামলা হয়। পরে ২০০৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর শাহাবুদ্দিনসহ গ্রেপ্তার তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ২০০৭ সালের ৫ মার্চ জামিনে মুক্ত হন শাহাবুদ্দিন।
২০১১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবার জামিন আবেদন করেন তিনি। এতে জামিন মেলে তার। এরপর ফেরারি হয়ে যান শাহাবুদ্দিন। তার দুই সহযোগী থেকে যান কারাগারে।
২০১২ সালের ১ অক্টোবর মামলায় শাহাবুদ্দিন ও তার দুই সহযোগীর প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী ঢাকার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ফারুক আহম্মদ। এরপর পলাতক শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন:নির্দোষ জাহালমের কারাভোগের জন্য কে দায়ী জানতে চায় হাইকোর্ট
যশোরের সেই ৩ কিশোরের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে নোটিশ
নিরীহ জাহালমকে মুক্তি দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্টের নির্দেশ
এ ঘটনার দীর্ঘদিন পর ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পল্লবীর ১৩ হাউস, ব্লক-এ, সেকশন ১০ নম্বর এলাকায় অভিযান চালায় পল্লবী থানার পুলিশ। এ অভিযানে ছিলেন তৎকালীন ওই থানার এসআই রাসেল, যিনি বর্তমানে মিরপুর মডেল থানায় কর্মরত। আরমান বাসায় নাশতা সেরে চা পানের জন্য পাশের একটি চায়ের দোকানে যান। অভিযানকারীরা সেখান থেকে শাহাবুদ্দিনের বাবার নামের সাথে মিল থাকায় আরমানকে গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে আরমানকে কাশিমপুর কারাগার-২ এ রাখা হয়।
আইনজীবী হুমায়ূন কবির পল্লবের এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩১ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আরমানকে মুক্তি দেয়াসহ তাকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশ দেন।
বিনা অপরাধে জেলা খাটার বিষয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন আরমান ও তার স্বজনরা।