যে কারণে বরমচাল স্টেশনে দেড় ঘণ্টা আটকে ছিল চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর ‘পাহাড়িকা এক্সপ্রেস’ ট্রেন। শুক্রবার দুপুর ২টা ৫০ মিনিট থেকে বরমচাল স্টেশনে আটকা পড়ে ট্রেনটি। পরে বিকাল ৪টা ২৭ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ে।
জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশনের নিকটবর্তী বড়ছড়া রেলওয়ে ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বরমচাল স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম পাহাড়িকা ট্রেনটি আটকে দিয়েছিলেন। এছাড়া শ্রীমঙ্গল, শমসেরনগর এলাকায় রেললাইনে পানি উঠেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
বরমচাল স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টির কারণে প্রবল স্রোতে বড়ছড়া ব্রিজের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। লাইনটি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে ধারণা। এ অবস্থায় বড়ছড়া ব্রিজ ও রেলপথ দিয়ে ট্রেন চলতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য বরমচাল স্টেশনে পাহাড়িকা ট্রেনটি থামিয়ে দেয়া হয়েছিল। পরে পিআইডব্লিউ এর নির্দেশে দেড়ঘণ্টা পর ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
কুলাউড়া স্টেশন মাস্টার মাজহারুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছু স্থানে রেল লাইনের ওপর পানি উঠে গেছে। তাছাড়া বড়ছড়া ব্রিজ টেকসই মনে হচ্ছে না। হতে পারে প্রবল স্রোতে নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। তাই ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়। পরে রেলওয়ের সেই ব্রিজ পরীক্ষা করে ট্রেন চলার উপযুক্ত মনে হওয়াতে ট্রেনটি ছেড়ে দেয়া হয়।
এর আগে ২৩ জুন রাতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল এলাকায় দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে চারজন প্রাণ হারান।