ব্রিজের গার্ডার ভেঙে পড়ার সময় বিকট শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে। অল্পের জন্য রক্ষা পান ২০ জন শ্রমিক।
ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, জাইকার অর্থায়নে মনিকা লিমিটেড পিডব্লিউ ০৩ প্যাকেজের আওতায় ব্রিজটি নির্মাণ করছে। দেড় বছর ধরে পাইলিং ও মাটি ভরাটের কাজ শেষে এখন ব্রিজের দুই পাশে গার্ডার দেয়ার কাজ চলছিল।
কোম্পানির ম্যাসেঞ্জার ওলিউর রহমান জুয়েল জানান, জগ দিয়ে গার্ডার স্থানান্তরিত করার সময় অসাবধানতাবশত প্রায় একশ ফুট দৈর্ঘ্য গার্ডার দুইটি নিচে পড়ে ভেঙে গেছে। শ্রমিকরা এ সময় খাবার গ্রহণ করায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, কাজে ত্রুটি থাকার কারণে এই দুর্ঘনা ঘটেছে। পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ব্রিজের কাজে ব্যবহৃত পাইপ ও সার্টারগুলো দীর্ঘ দিনের পুরানো ও মরিচা ধরা। প্রায় দেড়শ টন ওজনের দুইটি গার্ডারের ভার সইতে না পারায় গার্ডার দুইটি পড়ে গেছে।
প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, ব্রিজ ভাঙেনি, তবে উঠানোর সময় গার্ডার ভেঙে গেছে।
সাইট ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন জানান, বিষয়টি জেনে বুঝে বলা যাবে। তবে নিশ্চয় কাজে কোনো ত্রুটি ছিল।
ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌলী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এ কাজের দেখভাল করছি না। ঢাকা থেকে একটি প্রজেক্টের মাধ্যমে কাজটি হচ্ছে। এই প্রজেক্টের একটি অফিস যশোরে আছে। তাদের সাথে কথা বলুন। আমরা ব্রিজ নির্মাণের কোনো খোঁজই রাখি না।’