বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের এক প্রভাষকের উৎপাদিত এই পদ্ধতি নিয়ে গত বছর বার্তা সংস্থা ইউএনবি’তে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে বিষয়টি এই দুই মহাপরিচালকের নজরে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভেষজ উপায়ে রক্ত উৎপাদনকারী প্রভাষক মো. জহির উদ্দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধীনস্থ পরীক্ষাগারে বৈজ্ঞানিক উপায়ে পরীক্ষার নির্দেশনা দিয়েছেন। একই ধরনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং রক্ত উৎপাদনের মেধাস্বত্ব নিজ নামে করার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে দাখিল করা পৃথক আবেদনেও মহাপরিচালক বিজ্ঞানাগারে তা পরীক্ষার নির্দেশ (স্মারক নং ২৩২৩৮) দেন।
ভেষজ উপায়ে রক্ত উৎপাদনের ওষুধ আবিষ্কারক জহির উদ্দিন জানান, প্রায় একযুগের বেশি সময় গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি গাছ-গাছালির নির্যাস থেকে রক্ত উৎপাদনের ভেষজ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। রক্ত উৎপাদনের এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে রোগীরা শতভাগ সফল হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
মো. জহির উদ্দিন সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের দাসউরা গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে।
তিনি বলেন, ‘উদ্ভাবিত রক্ত উৎপাদনের ভেষজ উপায়ে পাউন্ড প্রতি খরচ হবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে রোগীর শরীরে রক্ত ভরতে হবে না।’ বিশ্বে তিনিই একমাত্র দ্রুততম সময়ে রক্ত উৎপাদনের আবিষ্কারক বলে দাবি তার।
একজন রক্তশূন্য রোগী ওষুধ সেবনের সাথ সাথে তার শরীরে নতুন রক্ত উৎপাদন শুরু হবে। এজন্য তাকে অন্য কোনো ওষুধ সেবন বা যন্ত্রপাতির আশ্রয় নিতে হবে না।
এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান বলেন, ভেষজ উপায়ে অনেক রোগ নির্মূল করা সম্ভব। তবে রক্ত উৎপাদনের এ প্রক্রিয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ওষুধ প্রশাসনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ব্যবহার করা যেতে পারে।