তারা হলেন- মানিকগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সদস্য এম আবদুল করিম ও তার সহকারী মো. মহিদুল ইসলাম।
পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের দুদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত মহিদুল ইসলামকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এছাড়া আবদুল করিমকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ বুধবার বিকালে এই রায় দেন।
মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতের নকলকারক কাজী গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে ওই দুজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতের নকলকারক কাজী গিয়াস উদ্দিন মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের পাশে আব্দুল্লাহ ফটোকপির দোকানে দাপ্তরিক কাজে ফটোকপি করতে যান। এসময় ওই দোকানে ঘিওর উপজেলার পুখরিয়া গ্রামের চিকুন্দির ছেলে বারেক বেশ কিছু কাগজপত্র ফটোকপি করছিলেন। ওই কাগজে নকল তুলনাকারী ও বিচারকের স্বাক্ষর জাল বিষয়টি নিশ্চিত হন মামলার বাদী।
বারেক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ওই কাগজপত্রগুলো ফটোকপি করার জন্য অ্যাডভোকেট আবদুল করিম ও আইনজীবীর সহকারী মহিদুল ইসলাম তাকে দিয়েছেন। আসামিরা আদালতের অনুলিপি বিভাগের কর্মরত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে এবং নকল সিল তৈরি করে ঘিওর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের দেওয়ানী ৫১/২০১৮ মোকদ্দমার আদেশনামা, আরজি, সোলেনামা তৈরি করে অপরাধ করেছে। মঙ্গলবার রাতেই মানিকগঞ্জ সদর থানায় এব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়।
মানিকগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো জানান, জালিয়াতি করে কাগজপত্র তৈরি করা একটি জঘন্যতম অপরাধ। এতে আইনজীবীদের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, বুধবার সকালে আসামি অ্যাডভোকেট আবদুল করিম ও মহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।