তিনি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার বণ্যা গ্রামের বাসিন্দা।
হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ জানান, মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হতে সফিউদ্দিনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য সাভার প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরের অধীন সিরাজগঞ্জের চেীহালি উপজেলা কমান্ডার ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিন।
তিনি ভারতের দেড়াদুন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার সাথে গ্রুপ কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জের চেীহালি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের কমান্ডার আফতাব উদ্দিন তালুকদার।
মুক্তিযোদ্ধা সফিউদ্দিনের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায় হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার-পরিজনসহ মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ঘিওর সদর ইউনিয়নের ঠাকুরকান্দি গ্রামে শ্বশুরবাড়ি বসবাস করে আসছিলেন।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরনি আক্তার বলেন, সফিউদ্দিন আহমেদ একজন তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। বুধবার বিকাল ৫টায় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ঠাকুরকান্দি গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হবে। করোনা উপসর্গ থাকায় তার জানাজা ও দাফন সরকারি বিধান অনুযায়ী হবে।
এনিয়ে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ জনে।
এদিকে, মানিকগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।